রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সুমনের অত্যাচার-নির্যাতনে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বাংলাদেশের অপরাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ পিরোজপুরের মহারাজ-মিরাজ মাধবপুরে টোল আদায় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১৯ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্কাউটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন, সভাপতি-শাকিল ,সম্পাদক- ছাইফুল ! আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করব না: ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন রেজিস্ট্রার শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার চিলাহাটিতে তেলের ড্রাম বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু ডোমারে জাতীয় শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান ডোমারে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আটক-৩, মূল আসামী পলাতক

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আটক-৩, মূল আসামী পলাতক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাইম ইসলাম রাজু (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। নাইম ইসলাম রাজু ঠাকুরগাঁও রোড বালিয়াডাঙ্গী মোড় এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাইম ইসলাম রাজুকে প্রধান আসামী করে মোট ৯ জন সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৭/৯(১)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এর ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ মামলার ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আসামীরা হলেন- নাইম ইসলাম রাজুর বাবা নজরুল ইসলাম, তার মা মোছা: নাসিমা বেগম, ও তার খালু কামাল হোসেন।

মামলার অন্তর্ভূক্ত আসামীরা হলেন, নাঈম ইসলাম রাজু(২২), নাজমুল ড্রাইভার (৩০), সবুজ(২৫), সুমন(২৫), বাবু- ওরফে বড় বাবু(৩২), মাহমুদুল্লাহ্ ওরফে ছোট বাবু, মোছা: নাসিমা বেগম(৪৫), আ: হান্নান কাজী ও নজরুল ইসলাম(৫২)।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উত্তর-পশ্চিম দিকে ফার্মে থাকা ওই স্কুল ছাত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে নিজ বাড়িতে আসছিলো। ওই স্কুল ছাত্রী সুগার মিল কালি মন্দিরের সামনে পাকা রাস্তার উপর আসলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে ঘেরাও করে ধরে প্রধান আসামী নাঈম ইসলাম রাজু সহ তার সহযোগিরা। সেখানে ওই স্কুর ছাত্রীকে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে মোটর সাইকেল যোগে স্থানীয় ওয়াপদা কোলনির একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ।

এজাহারে আরও বলা হয়, সেখানে রাত ১০ টার দিকে মামলার অন্যতম আসামী আ: হান্নান কাজীর পরামর্শে অজ্ঞাত কয়েকজনের উপস্থিতিতে মামলার অন্তর্ভূক্ত আসামী হান্নান কাজীর দুই ছেলে বাবু ওরফে বড় বাবু ও মাহমুদুল্লাহ্ ওরফে ছোট বাবু ওই স্কুল ছাত্রীকে জীবন নাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একশত টাকা মূল্যমানের দুই পাতা অলিখিত ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের উপরে দুইটি এবং নীল পাতা সম্বলিত রেজিষ্টার বইয়ে একটি সাক্ষর জোর পূর্বক ভাবে করিয়ে নেন। এজাহারে আরও বলা হয়, সেখান থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে মামলার প্রধান আসামী সহ তার সহযোগিরা মোটর সাইকেল যোগে রুহিয়ার সেনিহারী গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে মামলার প্রধান আসামী নাঈম ইসলাম রাজু। সেখান থেকে ওই স্কুল ছাত্রী মুঠোফোনে তার মাকে জানালে সেখানে তার মা স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় নিয়ে আসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে এবং সদর থানায় মামলা দায়ের করে।

এর আগে স্কুল যাওয়ার পথে প্রায় ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো নাইম ইসলাম রাজু এমনটিও বলা আছে এজাহারে।

ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে হাসপাতালে কথা বলতে গেলে শারীরিকভাবে অসুস্থ থকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার সাথে তার বাড়িতে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি এবং তার পরিবারের কোন সদস্য কথা বলতে রাজি হয়নি।

এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামী নাইম ইসলাম রাজু পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

মামলার আরেক আসামী, নাইম ইসলাম রাজুর বড় ভাই নাজমুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই স্কুল ছাত্রী অনেক আগে থেকে আমার ভাইয়ের পিছনে ঘুরতো এবং তাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করতো। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে বিচার শালিশ ও করেছে। দুই পক্ষের পরিবার সেটা জানে। আমি মনে করেছিলাম আমার ভাইয়ের সাথে হয়তোবা ওই মেয়ের কোন সম্পর্ক আছে। মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় আমরা বিয়ে দিতে পারিনি। আমি ওই মেয়েকে বুঝিয়েছি লেখা পড়া শেষ করে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে নিয়ে ভাবা যাবে। তিনি আরও বলেন, কোন রকম কোন অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি, ওই মেয়ে নিজে এসেছে এবং আমার ভাইকে ফাঁদে ফেলেছে। এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ কেনো করেছে তাদের আসল উদ্দ্যেশ্য কি বুঝতে পারছিনা আমরা। আমাদের হয়রানি করতেই এমন মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। ১ নং আসামী সহ বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অবহ্যাত রয়েছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com